ভূঞাপুরে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ।

লেখক: www.nirapodtv.com www.nirapodtv.com
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

 

হাবিবুর রহমান সম্রাট তালুকদার উপজেলা প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের গোবিন্দাসী এলাকায় অবস্থিত ইমদাদুল উলুম আদর্শ বালিকা মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কানে পৌঁছালে তা সংবাদ আকারে প্রকাশের আশঙ্কায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই জন শিক্ষককে বহিষ্কার করেছে। এ ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন মাদ্রাসার পার্টনার হাফেজ হাফিজুর রহমান বাহার ও সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।

মাদ্রাসার প্রকাশিত বহিষ্কার পত্র অনুযায়ী বাহার ও আমিনুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির প্রমাণ পাওয়ার পরই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের আরো কয়েকজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের বিভিন্ন রকম ভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি আড়াল করতে তাৎক্ষণিক দুইজনকে বলির পাঁঠা বানিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে অনেকের দাবী।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংবাদ প্রকাশ ঠেকাতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে সাংবাদিক ও অভিভাবকদের চাপে রাখার চেষ্টাও চলছে। ফলে ভুক্তভোগী অনেক পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

এ ঘটনার বিষয় জানতে নারী কেলেঙ্কারি দায়ে বহিষ্কৃত হাফেজ হাফিজুর রহমান বাহার  মুঠোফোনে বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে আপনাকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানাবো। তবে পরে তিনি কোন যোগাযোগ করেননি। একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিব করেননি।

আরেক বহিষ্কৃত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, কি কারনে বহিষ্কার করেছে আমি জানি না। তাদের মনে চেয়েছে তাই হয়ত করেছে এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

ঘটনার বিষয় জানতে এমদাদুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মনজুরুল ইসলাম কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিব করেননি।

ভুক্তভোগী ও অভিভাবক মহল বলছে, শুধু বহিষ্কার নয়, অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনা মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করছে এবং মেয়েদের ভবিষ্যৎ কে হুমকির মুখে ফেলছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সাথে জড়িত সব শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

ঘটনার বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।